| |
               

মূল পাতা জাতীয় বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী 


বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী 


রহমত নিউজ     19 October, 2022     05:38 PM    


বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিগত প্রায় আড়াই বছর কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দার মাঝেও বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল ছিল। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জ্বালানি ও গ্যাস সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী বিরূপ প্রভাব পড়েছে, বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। তারপরও বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, সকল অর্থনীতির সূচক ইতিবাচক ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে।

আজ (১৮ অক্টোবর) বুধবারঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এশিয়ান ট্রেড প্রমোশন ফোরাম-এটিপিএফের দু’দিনব্যাপী ৩৫তম সিইও সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জেটরোর চেয়ারম্যান নবুহিকো সাসাকি এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ ফোরামের কো-চেয়ারম্যান এবং জেটরোর চেয়ারম্যান নবুহিকো সাসাকির সাথে বৈঠক করেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির আহ্বান জানান এবং টেকনোলজি ক্ষেত্রে সহযোগিতা চান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এখানে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।বাংলাদেশে পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ প্রায় ১৭ কোটি মানুষের একটি বড় বাজার, পাশাপাশি ভারত ও চীন বিশাল বাজার। কম খরচে বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করে রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। বাংলাদেশ সকল বিনিয়োগের নিরাপত্তা দিচ্ছে। যে কোনো দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে।

উল্লেখ্য, প্রমোশন এটিপিএফের মোট সদস্য ২৩টি দেশ। এ বছর তিন দিনব্যাপী (১৮-২০ অক্টোবর ) ৩৫তম সিইও সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সভায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি যৌথ প্রকল্প ও বাস্তবায়ন, নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করণের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, আঞ্চলিক বাণিজ্যে সমস্যা চিহ্নিত করে সরাসরি যোগাযোগ করে তা সমাধান করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।